ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সাতাইয়া
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের নারীদের বিবস্ত্র করে ইহুদিবাদী সেনাদের তল্লাশির বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সাতাইয়া। এছাড়া, ইসরাইলি সেনাদের এই বর্বর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলন।
সাতাইয়া বলেছেন, তল্লাশির নামে ইহুদিবাদী সেনারা যে অপরাধ করেছে তা উস্কানিমূলক, লজ্জাজনক এবং ভয়াবহ ঘটনা। তিনি বলেন, এটি শুধুমাত্র তাদের পক্ষেই করা সম্ভব যাদের কোনো নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ নেই।
ফিলিস্তিনের জাতীয় সংসদের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি বলেছে, এই ঘটনার মধ্যদিয়ে দখলদার ইসরাইলের ফ্যাসিবাদী ও কুৎসিত চেহারা-বিশ্বের সামনে প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করার জন্য মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দখলদার ইসরাইলি সেনাদের এই কুকর্মের প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, এই ঘটনা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের আঘাত এবং হামাস ও ফিলিস্তিনি জনগণ বিষয়টি মোটেই উপেক্ষা করবে না। হামাস এর প্রতিশোধ নেবে বলেও অঙ্গীকার করেছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলাম জিহাদ আন্দোলনের মুখপাত্র তারিক সালামি এ ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার জন্য পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১০ জুলাই সকালে আল-খলিল শহরের একটি বাড়িতে দুইজন ইসরাইলি নারী সেনা ফিলিস্তিনি নারীদের বিবস্ত্র করে তল্লাশির মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। ওই দুই সেনা ৫৩ বছর বয়সী একজন মা, তার ১৭ বছর বয়সী মেয়ে এবং তিন ছেলের স্ত্রীকে একটি আলাদা কক্ষে নিয়ে বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালায়।
ইসরাইলের ওই দুই নারী সেনার কাছে রাইফেল এবং কুকুর ছিল। ফিলিস্তিনি পাঁচ নারী বিবস্ত্র হতে রাজি না হলে ইহুদিবাদী সেনারা তাদেরকে গুলি করার এবং তাদের ওপর কুকুর লেলিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। এর আগে কাপড়চোপড় পরা অবস্থায় ইসরাইলের পুরুষ সেনারা ফিলিস্তিন নারীদের দেহ তল্লাশি করে।
Leave a Reply